বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের অর্ধশত ইউনিট
ফের ঢাকার বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই ৫০০০ দোকান
রাজধানীর বঙ্গবাজারসহ ৪টি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে।
খবরে পেয়ে তা নিয়ন্ত্রণে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পরে যোগ দিয়েছেন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে মার্কেটগুলোর হাজার হাজার দোকান পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, আজ সকাল ৬টায় বঙ্গবাজার মার্কেট আগুন লাগার খবর পান তারা। খবর পাওয়ার পর তাদের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া হতাহতের কোনো খবরও তারা জানতে পারেননি।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতালা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা । তাঁরা বলেন, ” আমাদের প্রথম লক্ষ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। আমরা সেই কাজ শুরু করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকেও জল নেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয়রা জানান, এই দুর্ঘটনা ব্যবসায়ীদের পথে নামিয়ে দিয়েছে। ইদের বাজার সবে শুরু হয়েছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে এই ভয়াবহ আগুনে তাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। ইতিমধ্যে সেখানের কয়েকশো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে । সেখানে পোশাকসহ আরও অনেক পণ্য ছিল । এদিকে, আগুন লাগার পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজে লাগানো হয়েছে সেনা, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারকেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ভেঙে পড়ে ওই মার্কেটের বিভিন্ন অংশ।
আগুন লাগার পরেই তা ছড়িয়ে পরে এনেক্সকো টাওয়ারে । বঙ্গবাজারের সামনের রাস্তাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবাজারে টিনশেড মার্কেটটি পুরোটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাইকোর্ট থেকে গুলিস্তান এবং বঙ্গবাজার সংলগ্ন সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যান চলাচল বন্ধ করা হয় গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, ফুলবাড়িয়া, নাজিরা বাজার, আনন্দবাজার সড়ক থেকেও।
লালবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জয়িতা দাস জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত , নিরাপত্তার খাতিরে ওই রাস্তাগুলি বন্ধ রাখা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে ঢাকায় একাধিক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে । গুলিস্তানের কাছে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে । সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় কুড়ি জনের। তারপরেই ঢাকার বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া বহুতলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । অনেক বহুতল ভবন ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।